সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭

শিয়ারা কী কখনো ইসলাম ও মুসলিমের পক্ষাবলম্বন করে প্রতিরোধ করেছে.....?

রাফেযীরা সর্বদা মুসলিম উম্মার পিঠে ছুরি ও বিষাক্ত বর্শার মতই ছিল, এখনো আছে। খ্রিস্টানরা যখন কোনো ইসলামি  রাষ্ট্রকে পদানত করতে চেয়েছে তাদেরকে ব্যাবহার করেছে। আমরা সকল রাফেযীদের চ্যালেঞ্জ করে বলছি: আমাদেরকে একজন শিয়া নেতার নাম বল, যে কোনো একটি মুসলিম রাষ্ট্র বিজয় করেছে!!
  • উম্মতে মুসলিমার সাথে শিয়াদের কতক গাদ্দারি:
এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, শিয়ারা তাদের ধর্মীয় কেন্দ্র ‘কুম’ ব্যতীত কাউকে আনুগত্য প্রদান করে না। তারা তেহরান সরকার ব্যতীত কারো সাথে রাজনৈতিক সখ্যতা গড়ে না। শিয়া নেতৃবৃন্দের কথাবার্তা যারা জানে, তাদের নিকট বিষয়গুলো স্পষ্ট।[1]
ইয়াহূদী এরিয়েল শেরুন স্বীয় ডাইরিতে বলেন: “দীর্ঘ ইতিহাসে কখনো দেখিনি শিয়াদের সাথে ইসরাইলের শত্রুতা রয়েছে”।[2]
এ থেকে আমরা উত্তর পাই যে, কেন ইসরাইল হিযবুল্লাহর পিছু নেয় না, যেরূপ পিছু নেয় হামাস ও অন্যান্য ইসলামি সংগঠনের। যেমন তারা শায়খ আহমদ ইয়াসিনকে অপহরণ করেছে, ড. আব্দুল আজিজ রানতিসি ও ইয়াহইয়াহ আইয়াশকে গুম করেছে এবং ড. খালেদ মিশআলকে অপহরণ করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। (কিন্তু তারা কখনো কোনো শিয়া নেতাকে হত্যা করে নি)
শিয়াদের গাদ্দারির আলোচনা আমি দীর্ঘ করব না, বরং তাদের গাদ্দারির দিকে ইশারা করব এবং অনুসন্ধিৎসুর জন্য তার স্থান বাতলে দিব:

১. আমিরুল মোমেনিন আলি ইবনে আবি তালিবের সাথে তারা গাদ্দারি করেছে, ফলে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের তিরস্কার করেছেন ও তাদের কর্ম থেকে নিজেকে মুক্ত ঘোষণা করেছেন।[3]

২. হাসান ইবনে আলির সাথে তারা গাদ্দারি করেছে। শিয়ারা তাকে বর্শা মেরেছে ও তার নামকরণ করেছে مذلَّ المؤمنين তথা ‘মোমেনদের অপমানকারী’।

. হুসাইন ইবনে আলির সাথে তারা গাদ্দারি করেছে। তারা তাকে চিঠির মাধ্যমে আহ্বান করে তার হাতে বায়আত করার ঘোষণা দেয়, কিন্তু যখন তিনি আগমন করেন, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় ও তাকে হত্যা করে।[4] হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাদের গাদ্দারির কারণে তাদের উপর বদদোয়া করেন।[5]

 ৪. শিয়া মন্ত্রী আলি ইবনে ইয়াকতিন হারুনুর রশিদের যুগে জেলখানার ছাদ ফেলে ৫০০-সুন্নী মুসলিমকে হত্যা করেছে।[6]

৫. ফাতেমি সরকারগুলো সুন্নত ধ্বংস ও শিয়া মাজহাব প্রচারের ক্ষেত্রে গাদ্দারির আশ্রয় নিয়েছে।[7]

৬. শিয়া কারামাতাহ সম্প্রদায় হাজিদের হত্যা করে তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে।[8]

৭. শিয়া ‘বুওয়াইহী’দের গাদ্দারি ও আহলে সুন্নাহর উপর তাদের জবরদস্তি মূলক আধিপত্য অনেকেরই জানা।[9]

. আব্বাসিয়া খিলাফতের রাজধানী বাগদাদে তাতারিদের অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে শিয়া মন্ত্রী আবু তালিব মুহাম্মদ ইবনে আহমদ আলকামি রাফেযীর সক্রিয় অংশ গ্রহণ ও গাদ্দারি ঐতিহাসিকদের নিকট প্রসিদ্ধ।[10]


৯.তাতারিরা যখন দামেস্কে প্রবেশ করে, তখন রাফেযীরা তাদের পক্ষ নেয় এবং তাদের অধীনে কাজ করে।[11]
১০. হালাকু যখন হালবে (আলেপ্পো) প্রবেশ করে অনেক মুসলিম হত্যা করে, তখন রাফেযীরা মুসলিমদেরকে হালাকুর নিকট আত্মসমর্পণ ও তার সাথে যুদ্ধ না করার দাবি জানায়।[12]
১১. নাসিরুদ্দিন তুসি রাফেযী খিয়ানত করে আহলে সুন্নাহকে হত্যা করেছে, তাদের সম্পদ দখল করেছে ও তাদের ঐতিহ্যকে নিঃশেষ করেছে।[13]
১২. ইমাম মুজাহিদ সালাহুদ্দিনকে[14] হত্যার পরিকল্পনায় শিয়াদের খিয়ানত ও প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি ছিল না।[15]
১৩. সালাজেকা সুন্নী সরকারের সাথে শিয়ারা খিয়ানত করেছে ও তাদের বিপক্ষে ক্রুসেডদের সাহায্য করেছে।[16]
১৪. শিয়া দ্বাদশ ইমামিয়াদের লেবাননে আহলে সুন্নার বিরুদ্ধে গাদ্দারি করা ও তাদের বিরুদ্ধে খ্রিস্টানদের সাহায্য করার ঘটনা প্রসিদ্ধ।[17]
১৫. শিয়া সরকার ইউরোপে খিলাফতে উসমানিয়ার বিজয়কে বয়কট করেছিল। তারা খিলাফতের উসমানিয়ার বিপক্ষে খ্রিস্টানদের সাথে জোট গঠন ও পরামর্শ করেছে।[18]
১৬. শিয়া দ্বাদশ ইমামিয়ারা আরব উপসাগরীয় দেশে খ্রিস্টানদের সাথে মিলে ইরাকের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র করেছে, যা তাদের আলেম সিসতানি ও হাকিম প্রমুখদের মুখের স্বীকারোক্তিতে প্রমাণিত।[19]
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও ইরাকে আমেরিকার প্রতিনিধি ‘পল ব্রেমার’ গ্রন্থ عام قضيته في العراق ‘ইরাকে আমার এক বছর’ থেকে ইরাক দখলে শিয়া ইমামিয়া কর্তৃক আমেরিকাকে সাহায্য করা র লোমহর্ষক কাহিনী জানা যায়। তিনি বলেন:
“অনেক শিয়া আমেরিকার উপর অসন্তুষ্ট যে, আমেরিকা এখনো হত্যাযজ্ঞ বন্দ করেনি, এতদ সত্যেও শিয়া নেতৃবৃন্দ, যাদের মধ্যে আয়াতুল্লাহ সিসতানিও আছেন, তাদের অনুসারীদেরকে ইরাককে সাদ্দাম মুক্ত করার আন্দোলনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমেরিকাকে সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরাও তাদের সাহায্য হারানোর ঝুঁকি নিতে পারি না”।
ইরাকে ইসলামি (শিয়া) বিপ্লব পরিষদের সর্বোচ্চ নেতা আব্দুল আজিজ হাকিম সম্পর্কে তিনি বলেন: “আব্দুল আজিজ তার রঙিন চশমা দিয়ে আমার দিকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে দৃষ্টি দেন ও বলেন: মহামান্য রাষ্ট্রপতি, আপনি বলেছেন নতুন সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিবে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, কারা হবে সে কর্মকর্তা? তার আরবি উপাধি উল্লেখ করে আমি তাকে বললাম: আপনাকে ওয়াদা দিচ্ছি যে, নতুন এ বাহিনীর প্রধান হবে শিয়া। অতঃপর বলেন: নিশ্চয় আমেরিকা তার ওয়াদা পুরোপুরি পূর্ণ করেছে”।
তিনি আরো বলেন: “সিসতানি আমেরিকার সৈন্যদের সাথে একযোগে কাজ করে, কিন্তু সে প্রকাশ্যে আমেরিকার কোনো বাহিনীর সাথে মিলতে নারাজ। আমেরিকার প্রতি তার সাহায্য ও যোগাযোগ অব্যাহত থাকার কারণে প্রতিনিধির মাধ্যমে তিনি তার ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন: “ইরাককে সাদ্দাম মুক্ত করার পর আয়াতুল্লাহ উজমা এক টিভি চ্যানেলে বলেন: তিনি আমেরিকার সাথে কোনো সমঝোতায় যাবেন না। এ কথা শুনে আমিও তাকে কোনো প্রকার চাপ দেইনি, কারণ আমার ইচ্ছা ছিল তার সাথে সাক্ষাত করা, যখন তার সাথে সাক্ষাত করলাম সকল সংশয় দূর হয়ে গেলো। নিশ্চয় সে ইসলাম ও আরব বিশ্বকে ভালো করেই জানে। এ জন্য তার পক্ষে সম্ভব ছিল না দখলদার আমেরিকার সৈন্যদের প্রকাশ্যে সাহায্য করা, এ ক্ষেত্রে ১৯২০ই. সাল ও তার পরবর্তী কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতাও ছিল। আবার মুকতাদা সদরের ন্যায় উগ্রপন্থীদের থেকেও তার দূরে থাকা জরুরি ছিল। মুদ্দাকথা: আয়াতুল্লাহ আমাদের সাথে কাজ করবে, আর আমরা উভয়ে মিলে নিজেদের স্বার্থ ভাগ করে নিব”।
রাফেযীদের নিফাক ও মুসলিম উম্মার সাথে তাদের প্রতারণার সাক্ষী দেখুন, ‘পুল ব্রেমার’ বলছেন: “যখন আরবি ও পশ্চিমা মিডিয়াগুলো আয়াতুল্লাহ সিসতানি ও আমেরিকার সাথে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দিচ্ছে, তখনো আমি ও আয়াতুল্লাহ সিসতানি প্রতিনিধির মাধ্যমে ইরাকি বিষয়গুলো সুরাহা করতাম, ইরাকে আমেরিকার দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তার সাহায্য ও সহযোগিতা বহাল ছিল।
গ্রীষ্মের প্রথম দিকে সব সন্দেহ দূর হয়ে যায়, যখন সে আমাকে চিঠি লিখে জানায় যে, আমি আমার অবস্থান গ্রহণ করেছি আপনাদের সাথে দুশমনির কারণে নয়, বরং আমি আয়াতুল্লাহ বিশ্বাস করি, বাহ্যিকভাবে সম্পর্ককে এড়িয়ে চলে গোপন সম্পর্ক কায়েম রাখা আমাদের উভয়ের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অধিক উপকারী। দখলদার আমেরিকার সাথে যদি প্রকাশ্য সম্পর্ক রাখি, তাহলে আমাদের অনেক উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। যেভাবে অনেক শিয়া ও কমিউনিস্ট সুন্নী আপনাদের সাহায্য করছে। আর শিয়াদের বড় বড় নেতৃবৃন্দ তো আপনাদের সাথে আছেই”
গ্রন্থকার বলেন: এরপরও কি খিয়ানত হতে পারে!
প্রিয়পাঠক, দেখলেন তো, রাফেযীদের বড় আলেম প্রকাশ্যে মানুষকে দেখাচ্ছে আমেরিকা বিরোধী, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছে, তারাও তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছে নিয়মিতভাবে, কারণ তাদের উভয়ের উদ্দেশ্য ইরাকের উপর কর্তৃত্ব হাসিল করা ও তার সম্পদকে বণ্টন করে নেওয়া। এ জাতীয় আচরণ শিয়াদের পক্ষে অসম্ভব নয়, তাদের পিতামহ ইবনে আলকামিও এরূপ করেছে, যেমন ইরাকে এ যুগে করেছে আব্দুল মজিদ খুঈ, মুহাম্মদ বাকের হাকিম ও আলি সিসতানি। তারা দখলদার আমেরিকাকে ইরাকে সাহায্য করেছে এবং অন্যান্য মুসলিম দেশেও তাকে যুদ্ধ করার পথ সুগম করে দিয়েছে। আল্লাহই সাহায্যকারী।

[1] এ কথার স্পষ্ট সাক্ষী হচ্ছে মিসরের প্রেসিডেন্টের বাণী: তিনি ৮/৪/২০০৬ই. তারিখে আরবি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন: শিয়াদের বন্ধুত্ব একমাত্র ইরানের সাথে, তাদের নিজ দেশের সরকারের জন্য নয়। এভাবে শিয়াদের থেকে সতর্ক করেছেন জর্দানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ এবং সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সৌদ ফায়সাল।
[2] দেখুন: শারুনের ডাইরি: (পৃ.৫৮৩)
[3] নাহজুল বালাগায় প্রদত্ত আলি রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর ভাষণ দেখুন, ড. মুহাম্মদ আবদাহ (পৃ.১৪৮), খুতবা নং: (৬৯)
[4] দেখুন: মুহসিন আমিন রচিত: أعيان الشيعة (পৃ.১/৩২)
[5] দেখুন: মুফিদ রচিত: «الإرشاد»  (২/১১০-১১১)
[6] দেখুন  নিয়ামাতুল্লাহ জাজায়েরি রচিত «الأنوار النعمانية»  (পৃ.২/৩০৮)
[7] এর উদাহরণ অনেক, আরো জানার জন্য দেখুন ইমাদ হুসাইন রচিত «خيانات الشيعة وأثرها في هزائم الأمة الإسلامية» (পৃ.৪৭)
[8] এর উদাহরণ অনেক, আরো জানার জন্য দেখুন ইমাদ হুসাইন রচিত «خيانات الشيعة وأثرها في هزائم الأمة الإسلامية» (পৃ.৬৩)
[9] এর উদাহরণ অনেক, আরো জানার জন্য দেখুন ইমাদ হুসাইন রচিত «خيانات الشيعة وأثرها في هزائم الأمة الإسلامية» (পৃ.৭৩)
[10] এর উদাহরণ অনেক, আরো জানার জন্য দেখুন ইমাদ হুসাইন রচিত «خيانات الشيعة وأثرها في هزائم الأمة الإسلامية» (পৃ.৮১), আরো দেখুন: শায়খ সুলাইমান আওদাহ রচিত دور الشيعة في سقوط بغداد على أيدي التتار কিতাব।
[11] দেখুন ইমাদ হুসাইন রচিত «خيانات الشيعة وأثرها في هزائم الأمة الإسلامية» (পৃ.৯২)
[12] দেখুন ইমাদ হুসাইন রচিত «خيانات الشيعة وأثرها في هزائم الأمة الإسلامية» (পৃ.৯৭)
[13] দেখুন ইমাদ হুসাইন রচিত «خيانات الشيعة وأثرها في هزائم الأمة الإسلامية» (পৃ.১০১)
[14] ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু ও সালাহুদ্দিন আইউয়ুবি রাহিমাহুল্লাহকে বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয় করার তৌফিক দান করেছেন, তারা দু’জনই শিয়াদের নিকট কাফের।
[15] দেখুন ইমাদ হুসাইন রচিত «خيانات الشيعة وأثرها في هزائم الأمة الإسلامية» (পৃ.১০৯)
[16] দেখুন ইমাদ হুসাইন রচিত «خيانات الشيعة وأثرها في هزائم الأمة الإسلامية» (পৃ.১১৭)
[17] দেখুন ইমাদ হুসাইন রচিত «خيانات الشيعة وأثرها في هزائم الأمة الإسلامية» (পৃ.১৪৫)
[18] আরো অধিক জানার জন্য দেখুন: «الصفويون والدولة العثمانية»  আলাবি ইবনে হাসান আতরাজি রচিত।
[19] দেখুন ইমাদ হুসাইন রচিত «خيانات الشيعة وأثرها في هزائم الأمة الإسلامية» (পৃ.১৬৭)
________________
মূলঃ হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কী জানেন?
 হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কী  1.1 MB    ভাষা:বাংলা
সংকলন:আলী আস-সাদেক
অনুবাদক:সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদক:আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রকাশনায়:ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদবর্তমান শিয়া-রাফেযিরা মুসলিম উম্মার ত্রাতা বনেছে, যাদের ধর্ম আহলে বায়তের কথিত মহব্বতে সীমালঙ্ঘন করা, কুরআনুল কারিমে বিকৃতিতে বিশ্বাস করা, সাহাবিদের অভিসম্পাত করা, উম্মুল মোমেনিনদের উপর অপবাদ আরোপ করা, রাত-দিন সাহাবিদের থেকে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেওয়া ও মুসলিম জাতির সাথে প্রতারণা করা। তারা আজও ‘হিযবুল্লাহ’ ও তার মিথ্যা শ্লোগানের আড়ালে মুসলিমদের গালমন্দ করে বিশ্বসভাকে জানান দিচ্ছে যে, তারাই মুসলিম উম্মার ত্রাতা ও অভিভাবক। অনেক নাদান মুসলিমকে আমরা জানি, যারা লেবাননি শিয়া সংগঠন ‘হিযবুল্লাহ’র আসল স্বরূপ সম্পর্কে অজ্ঞ, বরং ধোঁকায় লিপ্ত। তাদের কারো অজ্ঞতা এতো প্রকট যে, তারা ‘হিযবুল্লাহ’র প্রধান হাসান নাসরুল্লাকে হিরো জ্ঞান করে, তাকে বাহবা দিয়ে তার মাথায়-হাতে চুমু খায় ও খেতে বলে। তারা হিযবুল্লাহ, হিযবুল্লার উদ্দেশ্য, হিযবুল্লার আকিদা ও নিষ্পাপ  মানুষের রক্তে রঞ্জিত তার কালো ইতিহাস সম্পর্কে চরম অন্ধকারে কোনো সন্দেহ নেই।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন