অনেকেই
প্রশ্ন করে যে ইসলামকে শান্তির ধর্ম কিভাবে বলা যায় যখন তা তরবারীর
মাধ্যমে প্রসার লাভ করেছিল? অমুসলিমদের অনেকেই এই অভিযোগ করেন যে, ক্ষমতার
বলে ইসলাম প্রচার না করলে সারা বিশ্বে কোটি কোটি মুসলমান থাকা সম্ভব
নয়। নিম্নোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারব যে তরবারীর শক্তি নয়
বরং সত্য, বিজ্ঞান ও যৌক্তিক জ্ঞানের মাধ্যমেই ইসলাম দ্রুততার সাথে সারা
বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।
ইসলাম অর্থ হচ্ছে শান্তি: ইসলাম ’সালামা’ শব্দ হতে উদ্ভূত যার অর্থ হচ্ছে শান্তি। এর আরেকটি অর্থ হচ্ছে আল্লাহর (সুবঃ) কাছে আত্মসমর্পন করা। তাই ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম যা মহান স্রষ্টা আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে আত্মসমর্পনের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।
কিছুক্ষেত্রে শান্তি বজায় রাখার জন্য শক্তির প্রয়োগ প্রয়োজন: পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষই বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার পক্ষে। বিশ্বে এমন অনেক মানুষ আছে যারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য শান্তি বিনষ্ট করে। তাই মাঝে মাঝে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। ঠিক একই কারনে কোন দেশে অসামাজিক কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের সেই কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য পুলিশ তাদের উপর শক্তি প্রয়োগ করে। ইসলাম শান্তির জন্য। সেই সাথে বিশ্বের যেখানেই নির্যাতন পরিলক্ষিত হয় ইসলাম তার অণুসরীদের সেক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে বাধ্য করে। নির্যাতনের বিপক্ষে সংগ্রাম করার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামে শুধুমাত্র শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্যই শক্তি প্রয়োগ করা হয়।
ঐতিহাসিক ডি ল্যাসি ও ল্যরির বক্তব্য: ’ইসলাম তলোয়ারের মাধ্যমে প্রসার লাভ করেছে’ এই বক্তব্যের সুন্দর বিরোধিতা করেছেন ঐতিহাসিক ডি ল্যাসি ও ল্যরি তার ’ইসলাম এন্ড ক্রস রোড’ বইয়ের ৮ম পৃষ্ঠায়। ইতিহাস এটি প্রমান করেছে যে মুসলিমরা যে তলোয়ারের মাধ্যমে শক্তি প্রয়োগ করে বিভিন্ন জাতির মধ্যে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছে তা একটি ভ্রান্ত চিন্তাধারা যা কিনা বিভিন্ন ঐতিহাসিক বার বার বলে থাকে।
মুসলিম জাতির ৮০০ বছর স্পেন শাসন: মুসলিমরা ৮০০ বছর ধরে স্পেন শাসন করেছে। পরবর্তীতে খৃষ্টান ক্রুসেডাররা স্পেনে আসে এবং মুসলিমদের উচ্ছেদ করে। তারপর স্পেনে এমন কোন মুসলিম ছিল না যারা প্রকাশ্যে আযান দিতে পারত।
১৪ মিলিয়ন আরব হচ্ছে ’কোপটিক’ খৃষ্টান: মুসলিমরা প্রায় ১৪০০ বছর ধরে আরব শাসন করেছে। পরে কিছু সময়ের জন্য বৃটিশ ও কিছু সময়ের জন্য ফরাসীরা শাসন করেছে। সামগ্রীকভাবে মুসলিমরা ১৪০০ বছর শাসন করেছে। তথাপি এখনও আরবে এমন ১৪ মিলিয়ন আরব রয়েছে যারা ’কোপটিক’ খৃষ্টান অর্থাৎ খ্রীষ্টান ধর্মের শুরু থেকেই তারা খৃষ্টান হিসেবে রয়েছে। যদি মুসলিমরা তরবারীর মাধ্যমেই ইসলাম প্রচার করত তাহলে আরবে একজন খৃষ্টানও থাকত না।
ভারতের ৮০ শতাংশের অধিকাংশ লোকই অমুসলিম: মুসলিম জাতি হাজার বছরের উপর ভারত শাসন করেছে। যদি তারা চাইত তাহলে ভারতের সকল অমুসলিমকে ইসলাম ধর্মে আনতে পারত। বর্তমানে ভারতের ৮০% জনগোষ্ঠী অমুসলিম। এইসকল অমুসলিম ভারতীয়রা এটাই প্রমান করে যে ইসলাম তরবারীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় নি।
ইন্দোনেশিয়া ও মালয়শিয়া: বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থান করছে। মালয়শিয়ার অধিকাংশ জনগন মুসলিম। আপনারা যে কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়শিয়ায় কোন মুসলিম সেনাবাহিনী গিয়েছিল?
আফ্রিকার পূর্ব উপকূল: একই ভাবে ইসলাম আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে বিস্তার লাভ করেছিল। আপনারা যে কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, ইসলাম যদি সত্যই তরবারীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে কোন মুসলিম সেনাবহর গিয়েছিল?
টমাস কার্লাইল: বিখ্যাত ঐতিহাসিক টমাস কার্লাইল তার ’বীরও বীরের বন্দনা’ গ্রন্থে ইসলামের প্রসার সংক্রান্ত ভুল ধারণার ব্যাপারে বলেন, ”সত্যই তলোয়ার, কিন্তু কোথায় পাবে সেই তলোয়ার? প্রত্যেক নতুন চেতনাই কেবলমাত্র একজন মানুষের মননের ক্ষুদ্র পরিসরে বেড়ে উঠে – আর সেখানেই লালিত পালিত হয়। সারা পৃথিবীর সকল মানুষের বিপক্ষে সেই একজনই তখন রুখে দাঁড়ায়। একটি তরবারী নিয়ে তখন তার পক্ষে সারা পৃথিবীর বিরুদ্ধে লড়তে যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। তোমার নিশ্চয়ই তোমার নিজের তরবারী খুঁজে পেতে হবে! সারকথা, সেই চেতনা নিজেই তখন তাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
ইসলাম গ্রহনের ক্ষেত্রে কোন জবরদস্তি নেই: কোন তরবারীর মাধ্যমে ইসলাম বিস্তার লাভ করেছে? যদি মুসলিমরা তরবারীর মাধ্যমেই তা করতে চাইত তাহলেও তারা সেটা করতে পারত না। কারণ কুরানে আছে:
”দ্বীন গ্রহনের ক্ষেত্রে কোন জবরদস্তি নেই। সত্য দ্বীন ভ্রান্ত আকীদা ও বিশ্বাস থেকে পৃথক হয়ে গেছে।” [বাকারা ২:২৫৬]
জ্ঞানের তরবারী: ইসলাম যেই তরবারীর মাধ্যমে মানুষের হৃদয়-মন জয় করেছে তা হচ্ছে জ্ঞান। কুরানে এই ব্যাপারে বলা হয়েছে:
”মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান কর জ্ঞান ও সুন্দর কথার মাধ্যমে এবং তাদের সাথে উত্তম ও বদন্যতার সাথে যৌক্তিক কথা বল।”
[১৬:১২৫]
১৯৮৬ সালের ’আলমানাক’ রিডার্স ডাইজেস্ট এর একটি নিবন্ধে ১৯৩৪ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত – এই অর্ধশতাবদ্ধীতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রধান ধর্ম গুলোর প্রসারের উপর একটি পরিসংখ্যান দেয়া হয়। এই নিবন্ধটি ’দ্য প্লেইন ট্রুথ’ ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হয়। সবার উপরে ছিল ইসলাম, যার প্রসার হার ছিল ২৩৫% এবং খৃষ্টান ধর্ম, যার প্রসার হার ছিল মাত্র ৪৭%। কেউ কি বলতে পারবে যে এই শতকের কোন যুদ্ধ মানুষকে ইসলাম গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করেছে?
ইসলাম আমেরিক এবং ইউরোপে সবচেয়ে দ্রুত প্রসার পাচ্ছে: আজ আমেরিকায় ও ইউরোপে সবচেয়ে দ্রুত প্রসার পাওয়া ধর্মের নাম ইসলাম। কোন তরবারী পশ্চিমাদের ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করছে?
ডঃ জোসেফ এডাম পিয়ারসন বাস্তবিকই সত্য বলেছেন, ”যারা এই মনে করে ভয় পায় যে, কবে যেন আরবদের হাতে আনবিন বোমা চলে আসে!, তারা এইটুকু বোঝে না যে, ইসলামের বোমা ইতিমধ্যেই বিস্ফোরিত হয়ে গেছে। মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের সাথে সাথেই তা বিস্ফোরিত হয়েছে।”
ইসলাম অর্থ হচ্ছে শান্তি: ইসলাম ’সালামা’ শব্দ হতে উদ্ভূত যার অর্থ হচ্ছে শান্তি। এর আরেকটি অর্থ হচ্ছে আল্লাহর (সুবঃ) কাছে আত্মসমর্পন করা। তাই ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম যা মহান স্রষ্টা আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে আত্মসমর্পনের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।
কিছুক্ষেত্রে শান্তি বজায় রাখার জন্য শক্তির প্রয়োগ প্রয়োজন: পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষই বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার পক্ষে। বিশ্বে এমন অনেক মানুষ আছে যারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য শান্তি বিনষ্ট করে। তাই মাঝে মাঝে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। ঠিক একই কারনে কোন দেশে অসামাজিক কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের সেই কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য পুলিশ তাদের উপর শক্তি প্রয়োগ করে। ইসলাম শান্তির জন্য। সেই সাথে বিশ্বের যেখানেই নির্যাতন পরিলক্ষিত হয় ইসলাম তার অণুসরীদের সেক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে বাধ্য করে। নির্যাতনের বিপক্ষে সংগ্রাম করার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামে শুধুমাত্র শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্যই শক্তি প্রয়োগ করা হয়।
ঐতিহাসিক ডি ল্যাসি ও ল্যরির বক্তব্য: ’ইসলাম তলোয়ারের মাধ্যমে প্রসার লাভ করেছে’ এই বক্তব্যের সুন্দর বিরোধিতা করেছেন ঐতিহাসিক ডি ল্যাসি ও ল্যরি তার ’ইসলাম এন্ড ক্রস রোড’ বইয়ের ৮ম পৃষ্ঠায়। ইতিহাস এটি প্রমান করেছে যে মুসলিমরা যে তলোয়ারের মাধ্যমে শক্তি প্রয়োগ করে বিভিন্ন জাতির মধ্যে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছে তা একটি ভ্রান্ত চিন্তাধারা যা কিনা বিভিন্ন ঐতিহাসিক বার বার বলে থাকে।
মুসলিম জাতির ৮০০ বছর স্পেন শাসন: মুসলিমরা ৮০০ বছর ধরে স্পেন শাসন করেছে। পরবর্তীতে খৃষ্টান ক্রুসেডাররা স্পেনে আসে এবং মুসলিমদের উচ্ছেদ করে। তারপর স্পেনে এমন কোন মুসলিম ছিল না যারা প্রকাশ্যে আযান দিতে পারত।
১৪ মিলিয়ন আরব হচ্ছে ’কোপটিক’ খৃষ্টান: মুসলিমরা প্রায় ১৪০০ বছর ধরে আরব শাসন করেছে। পরে কিছু সময়ের জন্য বৃটিশ ও কিছু সময়ের জন্য ফরাসীরা শাসন করেছে। সামগ্রীকভাবে মুসলিমরা ১৪০০ বছর শাসন করেছে। তথাপি এখনও আরবে এমন ১৪ মিলিয়ন আরব রয়েছে যারা ’কোপটিক’ খৃষ্টান অর্থাৎ খ্রীষ্টান ধর্মের শুরু থেকেই তারা খৃষ্টান হিসেবে রয়েছে। যদি মুসলিমরা তরবারীর মাধ্যমেই ইসলাম প্রচার করত তাহলে আরবে একজন খৃষ্টানও থাকত না।
ভারতের ৮০ শতাংশের অধিকাংশ লোকই অমুসলিম: মুসলিম জাতি হাজার বছরের উপর ভারত শাসন করেছে। যদি তারা চাইত তাহলে ভারতের সকল অমুসলিমকে ইসলাম ধর্মে আনতে পারত। বর্তমানে ভারতের ৮০% জনগোষ্ঠী অমুসলিম। এইসকল অমুসলিম ভারতীয়রা এটাই প্রমান করে যে ইসলাম তরবারীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় নি।
ইন্দোনেশিয়া ও মালয়শিয়া: বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থান করছে। মালয়শিয়ার অধিকাংশ জনগন মুসলিম। আপনারা যে কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়শিয়ায় কোন মুসলিম সেনাবাহিনী গিয়েছিল?
আফ্রিকার পূর্ব উপকূল: একই ভাবে ইসলাম আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে বিস্তার লাভ করেছিল। আপনারা যে কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, ইসলাম যদি সত্যই তরবারীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে কোন মুসলিম সেনাবহর গিয়েছিল?
টমাস কার্লাইল: বিখ্যাত ঐতিহাসিক টমাস কার্লাইল তার ’বীরও বীরের বন্দনা’ গ্রন্থে ইসলামের প্রসার সংক্রান্ত ভুল ধারণার ব্যাপারে বলেন, ”সত্যই তলোয়ার, কিন্তু কোথায় পাবে সেই তলোয়ার? প্রত্যেক নতুন চেতনাই কেবলমাত্র একজন মানুষের মননের ক্ষুদ্র পরিসরে বেড়ে উঠে – আর সেখানেই লালিত পালিত হয়। সারা পৃথিবীর সকল মানুষের বিপক্ষে সেই একজনই তখন রুখে দাঁড়ায়। একটি তরবারী নিয়ে তখন তার পক্ষে সারা পৃথিবীর বিরুদ্ধে লড়তে যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। তোমার নিশ্চয়ই তোমার নিজের তরবারী খুঁজে পেতে হবে! সারকথা, সেই চেতনা নিজেই তখন তাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
ইসলাম গ্রহনের ক্ষেত্রে কোন জবরদস্তি নেই: কোন তরবারীর মাধ্যমে ইসলাম বিস্তার লাভ করেছে? যদি মুসলিমরা তরবারীর মাধ্যমেই তা করতে চাইত তাহলেও তারা সেটা করতে পারত না। কারণ কুরানে আছে:
”দ্বীন গ্রহনের ক্ষেত্রে কোন জবরদস্তি নেই। সত্য দ্বীন ভ্রান্ত আকীদা ও বিশ্বাস থেকে পৃথক হয়ে গেছে।” [বাকারা ২:২৫৬]
জ্ঞানের তরবারী: ইসলাম যেই তরবারীর মাধ্যমে মানুষের হৃদয়-মন জয় করেছে তা হচ্ছে জ্ঞান। কুরানে এই ব্যাপারে বলা হয়েছে:
”মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান কর জ্ঞান ও সুন্দর কথার মাধ্যমে এবং তাদের সাথে উত্তম ও বদন্যতার সাথে যৌক্তিক কথা বল।”
[১৬:১২৫]
১৯৮৬ সালের ’আলমানাক’ রিডার্স ডাইজেস্ট এর একটি নিবন্ধে ১৯৩৪ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত – এই অর্ধশতাবদ্ধীতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রধান ধর্ম গুলোর প্রসারের উপর একটি পরিসংখ্যান দেয়া হয়। এই নিবন্ধটি ’দ্য প্লেইন ট্রুথ’ ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হয়। সবার উপরে ছিল ইসলাম, যার প্রসার হার ছিল ২৩৫% এবং খৃষ্টান ধর্ম, যার প্রসার হার ছিল মাত্র ৪৭%। কেউ কি বলতে পারবে যে এই শতকের কোন যুদ্ধ মানুষকে ইসলাম গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করেছে?
ইসলাম আমেরিক এবং ইউরোপে সবচেয়ে দ্রুত প্রসার পাচ্ছে: আজ আমেরিকায় ও ইউরোপে সবচেয়ে দ্রুত প্রসার পাওয়া ধর্মের নাম ইসলাম। কোন তরবারী পশ্চিমাদের ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করছে?
ডঃ জোসেফ এডাম পিয়ারসন বাস্তবিকই সত্য বলেছেন, ”যারা এই মনে করে ভয় পায় যে, কবে যেন আরবদের হাতে আনবিন বোমা চলে আসে!, তারা এইটুকু বোঝে না যে, ইসলামের বোমা ইতিমধ্যেই বিস্ফোরিত হয়ে গেছে। মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের সাথে সাথেই তা বিস্ফোরিত হয়েছে।”