শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সূফীবাদের নিকট জিহাদ

সুফীবাদ কুরআন ও সুন্নাহ এর মানদণ্ডে
মূলঃ শাইখ মুহাম্মাদ জামীল যাইনূ
শিক্ষক, দারুল হাদীস, মাক্কা-মুকাররামা
অনুবাদঃ মুহাম্মাদ হারূন হোসাইন
সূফীবাদের নিকট জিহাদ খুবই কম। তাদের ধারণা মতে তারা নিজেদের নফসের সাথে জিহাদে ব্যস্ত। তারা (তাদের মতের সমর্থনে) একখানা হাদীস বর্ণনা করেন যা শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তায়মিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) জাল বলে উল্লেখ করেন। আর সেটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণীঃ “আমরা ছোট জিহাদ হতে বড় জিহাদের দিকে ফিরে এলাম। আর তা হচ্ছে নফসের জিহাদ।”*(টীকা দ্রষ্টব্য)
বরং কুরআন ও সুন্নাহর স্পষ্ট বক্তব্য এই যে, কাফেরদের সাথে জিহাদ করা আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় সমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এখানে জিহাদ সম্পর্কে সূফীবাদের কিছু কথা উদ্ধৃত করা হলঃ
১- শা’রাণী বলেনঃ আমাদের থেকে এই মর্মে অঙ্গীকার গৃহীত হয়েছে যে, আমরা আমাদের ভাইদেরকে আদেশ দেব যেন তারা যুগ ও সে যুগের অধিবাসীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। তাদের উপর কাউকে আল্লাহ মঞ্জিল দান করলে তাকে যেন তারা কখনও তুচ্ছ মনে না করে। যদিও দুনিয়া ও দুনিয়ার নেতৃত্বের বিষয় হয়।
২- ইবনু আরাবী বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর কোন যালিম শাসক চাপিয়ে দেন, তখন তার বিরুদ্ধে উত্থান করা ওয়াজিব নয়। কেননা, সে আল্লাহর পক্ষ হতে তাদের জন্য শাস্তিস্বরূপ।
৩- দু’জন বড় সূফীনেতা ইবনু আরাবী ও ইবনুল ফারেজ ক্রুসেড যুদ্ধে বেঁচেছিলেন। কিন্তু তাদের কাউকে যুদ্ধে অংশ নিতে অথবা যুদ্ধের প্রতি আহবান জানাতে কিংবা তারা তাদের কোন কবিতায় অথবা গদ্যে মুসলিমদের উপর নেমে আসা বেদনায় অনুভূতি প্রকাশ করতে আমরা শুনিনি। উপরন্তু তারা মানুষকে দৃঢ়তা দিয়ে বলতেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু দেখছেন। কাজেই মুসলিমগণ ক্রুসেডারদেরকে ছেড়ে দিক ! তারা তো ঐ আকৃতিতে এলাহী জাত বৈ আর কিছু নয় !”
৪- গাজ্জালী স্বীয় কিতাব ‘আল-মুনক্বিয মিনাজ জালাল’-এ সূফীবাদের ত্বরীকা অনুসন্ধানকালে বলেন,ক্রুসেড যুদ্ধের সময় তিনি কখনও দামেস্কের গুহায় আবার কখনও বাইতুল মুকাদ্দাসের বড় পাথরের আড়ালে নির্জনে ধ্যানমগ্ন ছিলেন। আর দু’বৎসরের অধিককাল পর্যন্ত তিনি উভয় নির্জন কক্ষের দরজা বন্ধ করে রাখতেন। অতঃপর যখন ক্রুসেডারদের হাতে ৪৯২ হিজরী সনে বাইতুল মুকাদ্দাসের পতন ঘটল, তখন গাজ্জালী সামান্য বীরের লড়াইও করেননি। এমন কি ইহা পুনুরুদ্ধারের জন্যও জিহাদের ডাক দেননি। অথচ তিনি বাইতুল মুকাদ্দাসের পতনের পর আরও ১২ বৎসর বেঁচেছিলেন। আর তিনি তার কিতাব ‘ইহইয়াউ উলুমিদ দ্বীন’- এ জিহাদ বিষয়ে মোটেও কোন আলোচনা করেননি। বরং তিনি এতে অনেক কারামত বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যা সবই অবান্তর ও কুফরী। [উক্ত কিতাব, ৪/৪৫৬ পৃঃ দ্রঃ]
৫-‘তারিখুল আরবিল হাদীস ওয়াল মা’আসির’ গ্রন্থ প্রণেতা উল্লেখ করেন যে, সূফীবাদ পন্থীরা অনেক অবান্তর ও বিদআতের প্রসার ঘটিয়েছে। আর তারা যুদ্ধের বেলায় পিছুটান পথ এখতিয়ার করেছে। এমন কি আধিপত্যবাদীদের পক্ষে গোয়েন্দাদের ন্যায় তাদেরকে তারা ব্যবহার করেছে।
৬-মুহাম্মদ ফাহর শাক্বফা আস-সূরী স্বীয় ‘আত-তাসাউফ’ গ্রন্থের ২১৭পৃঃ বলেনঃ বাস্তবতা ও ঐতিহাসিক সত্যের আলোকে আমাদের প্রতি আবশ্যক যেন আমরা উল্লেখ করি যে, সিরিয়ায় ফ্রান্স আধিপত্যকালে তারা সূফীবাদের তিজনীয়াহ ত্বরীকার প্রসারে চেষ্টা করেছিল। এই গুরুত্ব আদায়ের জন্য ফ্রান্স শাসক শ্রেণী কতিপয় সুফী শায়খ ভাড়া করেছিল। ফ্রান্সের প্রতি ঝুঁকে যায় এমন একটি জাতি তৈরির জন্য তারা তাদের প্রতি সম্পদ ও স্থান পেশ করেছিল। কিন্তু মরক্কোর মুজাহিদরা দেশের নিষ্ঠাবান ব্যক্তিবর্গকে তিজানীয়া ত্বরীকার ভয়াবহতা সম্পর্কে সংগ্রাম করতে সতর্ক ভূমিকা পালন করে। (তারা বুঝাতে সক্ষম হয় যে, ধর্মীয় লিবাসে ইহা একটি ফ্রান্সি আধিপত্য লাভের কূটকৌশল। ফলে প্রচন্ড প্রতিবাদের মুখে আধিপত্যবাদীদের হাত হতে দামেস্কের পুরো পতন ঘটে।”
সুফীবাদ কুরআন ও সুন্নাহ এর মানদণ্ডে, পৃ ৩১-৩৩
সুফীবাদ কুরআন ও সুন্নাহ এর মানদণ্ডে
মূলঃ শাইখ মুহাম্মাদ জামীল যাইনূ
শিক্ষক, দারুল হাদীস, মাক্কা-মুকাররামা
অনুবাদঃ মুহাম্মাদ হারূন হোসাইন
________________________________________________
টীকাঃ [ ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ “আমরা ছোট জিহাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করলাম বড় জিহাদের (নফসের বিরুদ্ধে) দিকে”-হাদীসটি জাল হাদীস এবং এটি কোন হাদীস বর্ণনাকারী কর্তৃক বর্ণিত নয়, যাদের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী, তাঁর পদক্ষেপ এবং অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে তাঁর জিহাদ সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কুফফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধই হল সবচেয়ে প্রধান কাজ। একজন মানুষের পক্ষে এর চেয়ে বড় কাজ করা সম্ভব নয়। জিহাদ বলতে যে কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করাকেই বুঝানো হয়েছে তার কয়েকটি প্রমাণঃ
১ নারীদের প্রতিবাদ– যখন নারীরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসলেন এবং অভিযোগ করলেন যে পুরুষরা জিহাদে অংশ নেয় কিন্তু আমরা নেই না তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে মহিলাদের জিহাদ হল হজ্জ। এখানে এটি স্পষ্ট যে জিহাদের অর্থ হল লড়াই। যদি এর মানে আত্মার সাথে যুদ্ধ করাই হত তবে কেন মহিলারা তা করতে পারেনা?
 সালাফ আলেমগণের লেখা বিভিন্ন গ্রন্থের শুধুমাত্র সূচিপত্রের দিকে তাকালেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তাদের বইতে জিহাদ শিরোনামের অধ্যায়ে জিহাদের অর্থ হল যুদ্ধ করা। তারা যদি এর অন্য অর্থ বুঝাতেন তবে তা তাদের লেখায় ফুটে উঠত। বক্তব্যের প্রমাণ স্বরুপ বইগুলো – তারা প্রত্যেকেই এই লড়াইকে জিহাদ বলেছেন ‘ক্বিতাল’ বলেননিঃ “আল মুগনী” (ইবনে কুদামাহ); “আল উম্ম” (ইমাম শাফিঈ); “আল মুদাওয়ানাহা” (ইমাম মালিক); “আল মুখতাসার খালিল”- এর তিনটি ব্যাখাগ্রন্থ (আল খারশি); “আলায়শ এবং আল হাতাব-আল মুহালা” (ইবন হাযম); “সুবুল আল সালাম”, “নায়ল আল আওতার” এবং “আল ফাতাওয়া আল কুবরা” (ইবন তাইমিয়্যাহ)।
 জিহাদ সম্পর্কীয় এই হাদীসগুলি শুধু যুদ্ধকেই বুঝায়। উদাহরণস্বরূপঃ ০আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে প্রশ্ন করা হয় , “জিহাদেরসমতুল্য কোন কাজ আছে কি?” তিনি বলেন, “হ্যাঁ, কিন্তু তুমি তা করতে সামর্থ্যবান হবে না”। তৃতীয়বার তিনি বলেন, “মুজাহিদের সমতুল্য ঐ ব্যক্তি যে ততক্ষণ পর্যন্ত অনবরত রোযা রাখে এবং নামায (সালাহ) পড়ে যতক্ষণ পর্যন্ত না সেই মুজাহিদ ফিরে আসে।” (মুসলিম)।
অর্থাৎ যুদ্ধ থেকে ফিরে আসে। আত্মার সাথে যুদ্ধই যদি জিহাদ হতো তাহলে তা থেকে ফিরে আসার প্রশ্ন আসবে কেন?
০আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে প্রশ্ন করা হয় ,”হে আল্লাহর রাসূল ! আমাকে এমন কাজের নির্দেশ দিন যা জিহাদের সমতুল্য।” তিনি বলেন, “এমন কিছুই আমি খুঁজে পাইনা।” অতঃপর তিনি বলেন, “যখন মুজাহিদ জিহাদে যায়, তখন কি তুমি মসজিদে প্রবেশ করে অনবরত, কোন বিরতি না দিয়ে, সালাহ এবং রোযা রাখতে পারবে?” লোকটি বলেন, “কে সেটা করতে পারবে!” (বুখারী)
০ আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, একবার একজন সাহাবা একটি উপত্যকার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যেখানে পরিষ্কার পানির ঝর্ণা ছিল। তিনি বললেন, যদি আমি আমাকে মানুষদের থেকে নিজেকে নিঃসংগ করতাম এবং এই উপত্যকায় বসবাস করতে (আল্লাহর ইবাদত করতে) পারতাম; কিন্তু আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে অনুমতি না নেওয়া পর্যন্ত তা করব না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “এটা করনা। নিজ বাড়িতে ৭০ বছর সালাহ পড়ার চেয়ে আল্লাহর রাস্তায় অবস্থান করা অনেক বেশী উত্তম। তুমি কি চাওনা যে আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতে দাখিল করুন? যুদ্ধ কর(ইক্বযু) আল্লাহর রাস্তায়; কারণ যে একটা উটকে দুধ পান করানোর সমান সময়ও আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ (কতল) করবে জান্নাত তার জন্যে নিশ্চিত করা হবে।” (তিরমিযী সহীহ)
সুতরাং এই সাহাবী যে নফসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য নির্জনবাসী হতে চেয়েছিলেন, তাকে তা করতে নিষেধ করা হল।
শুধু এটাই নয়, যখন ফী সাবিলিল্লাহ ( আল্লাহর রাস্তায় বা পথে) কথাটি ব্যবহৃত হয় তখন তার অর্থ দ্বারা যুদ্ধকেই বুঝানো হয়। ইবন হাযার বলেন যে, যখনই ফী সাবিলিল্লাহ ব্যবহৃত হয় তখন তার দ্বারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করাকেই বুঝায়।
ইবন আবি শায়বাহ-এর “আল মুসান্নাফ” এবং আল বায়হাকীর “আল সুনান আল কুবরা”য় আছেঃ  আবু বকর আস সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু এক সৈন্যদলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং তাদের সাথে সাথে হাঁটছিলেন এবং এসময় তিনি বললেন, “তাঁরই কারণে আমাদের পাগুলোকে ধূলি ধূসরিত করার জন্য সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর”। একজন ব্যক্তি বললেন, “কিন্তু আমরা তো শুধু তাদেরকে এগিয়ে দিতে গিয়েছি এবং বিদায় জানিয়েছি?”। আবু বকর বললেন, “আমরা তাদের প্রস্তুত করেছি, বিদায় জানিয়েছি এবং দুয়া করেছি তাদের জন্যে”। এখানে লক্ষ্যণীয় যে, লোকটি আবু বকরের এ কথাটির জন্যে প্রশ্ন করে- “আমরা আমাদের পাগুলি ধুলো দিয়ে মেখেছি আল্লাহর জন্য”। কারণ লোকটি এর দ্বারা রণক্ষেত্র বা যুদ্ধক্ষেত্রকে বুঝত। আবু বকর তার বিশ্লেষণ করে দিলেন যে এর মাঝে এমন ব্যক্তিও অন্তর্ভুক্ত হয় যে সমর্থন করে এবং সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দেয়।
নিমোক্ত হাদীস সমূহ দ্বারা উপরে বর্ণিত “আল্লাহর রাস্তায়”- কথাটির ব্যাখা পাওয়া যায়ঃ
সালমান আল ফারিসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহর রাস্তায় একদিন অবস্থান করা একমাস রোযা রাখা এবং এর রাতগুলোয় সালাহ পড়া অপেক্ষা উত্তম। এবং যদি সে মৃত্যুবরণ করে তবে তার কাজের পুরষ্কার,যা সে করত, চলতে থাকবে এবং তার রিযক অবিরত থাকবে এবং সে কবরে ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে রক্ষা পাবে।” (মুসলিম ৫৭৬)
যদি “আল্লাহর রাস্তায়” কোন সাধারণ অর্থবোধক হত এবং সকল ভাল কাজ করার অর্থ বহন করত তবে উদ্ধৃত একমাস রোযা বা সালাহ পড়ার চেয়ে উত্তম কথাটি ভিত্তিহীন হয়ে পড়ত। সুতরাং জিহাদ বলতে নির্দৃষ্টভাবে যুদ্ধকেই বোঝানো হয়েছে।
আবদুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দু’ ধরণের চোখকে আগুন (জাহান্নামের) দ্বারা স্পর্শ করানো হবে না। সেই চোখ যে আল্লাহর ভয়ে কাঁদে এবং সেই চোখ যা আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দিয়ে রাত কাটায়।” (তিরমিযী ৭০৮) আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দেওয়া তখনই পূর্ণ হয় যখন যুদ্ধকে বুঝানো হয়।
আমর বিন আবসাহ বলেন যে, আমরা আল তাইফ অবরোধ করেছিলাম এবং আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনি, ” যে আল্লাহর জন্য একটি তীর নিক্ষেপ করে তাকে আল্লাহর নিমিত্তে একটি দাস মুক্ত করে দেয়ার সমতুল্য পুরষ্কার দেয়া হবে।” আমর বলেন আমি সেদিন ১৬টি তীর ছুড়ে ছিলাম। (আল নাসাঈ ৮০১-আল হাকিম তিরমিযী, আবু দাউদ) তীর ছোঁড়া কেবল যুদ্ধেই সম্ভব।
[টীকা- আহমাদ ইব্রাহীম মুহাম্মাদ আল দীমাশকী আল দুমইয়াতি (মৃত্যু ৮১৪ হিজরী );’ইবন আল নাহাস’]

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন